
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
মেয়ের বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছেন কনের বাবা-মা। চরম লজ্জিত বরের পরিবারের লোকজনও। আর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বরযাত্রীরা। তবে এতকিছুর পরেও দারুণ খুশি এতিমরা। অনেকদিন পর তারা পেটপুরে খেয়েছে। খানাপিনাতেও ছিল যথেষ্ট উৎসবের আমেজ। রোববার বিকেল চারটার দিকে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার আগমুন্দিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগমুন্দিয়া গ্রামের দীন মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে দুপুরে আয়োজন করা হয় তার মেয়ের বিয়ের। মেয়েটি স্থানীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বরযাত্রীর জন্য খাবার দাবারের বড় সড় আয়োজন করা হয়। বর একই উপজেলার মহেশ্বরচান্দা গ্রামের বাসিন্দা। দুপুরের পর থেকে কনের বাড়ির লোকজন অপেক্ষা করতে থাকে বরের জন্য। এক পর্যায়ে বর আসার পর শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু বিয়ে পড়ানোর আগেই কনের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানোয়ার হোসেন মোল্লা। বন্ধ হয়ে যায় বিয়ে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের বাবার ও বরের চাচার একহাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে বরযাত্রীদের জন্য রান্না খাবার এতিমদের মধ্যে বিতরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। ঘটনায় হতভম্ব বরপক্ষের লোকজন ফিরে চলে যান খালি মুখেই। আর বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার পুলিশের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় এতিমখানার কিশোরদের ডেকে এনে খাওয়ানো হয়। নানা পদের খাবার খেয়ে দারুন খুশি এতিমরা। অনেকেই বলতে থাকে, মাঝে মাঝে বাল্যবিয়ে হলে তো ভালোই হয়!
পাঠকের মতামত